মার্কিন পপস্টার ম্যাডোনার অসুস্থতা নিয়ে ভয়াবহ শঙ্কার মধ্যে ছিল তার পরিবার। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। গত শনিবার নিউইয়র্কে ৬৪ বছর বয়সী বিখ্যাত এ গায়িকা অচেতন হয়ে পড়েন। এরপরই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিল্পীর পরিবারের এক সদস্য ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, ম্যাডোনার অবস্থা অনেক গুরুতর ছিল এবং তার আত্মীয়রা ‘সবচেয়ের খারাপ কিছুর’ প্রস্তুতি নিয়েছিল।
ওই আত্মীয় ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন কেউ জানতো না আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে এবং তার পরিবার সবচেয়ে খারাপ কিছুর প্রস্তুতি নিয়েছিল। এ কারণে শনিবার থেকে এটি গোপন রাখা হয়। সবাই আশঙ্কা করেছিল আমরা হয়তো তাকে হারাতে বসেছি। এটাই ছিল বাস্তব পরিস্থিতি।’
তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মার্কিন পপস্টার ম্যাডোনা। তিনি এখন বাড়িতেই বিশ্রাম করছেন এবং ভালো বোধ করছেন।
এরআগে ম্যাডোনার ম্যানেজার জানান, গত ২৪ জুন শনিবার পপ তারকার গুরুতর এক জীবাণু সংক্রমণ হয়। পরে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসা নেন।
চলতি মাসে ওয়ার্ল্ড ট্যুরে যাওয়ার কথা ছিল ম্যাডোনার। এসময়ে আমেরিকা, ব্রিটেনের একাধিক শহর হয়ে আমস্টারডামে ‘সেলিব্রেশন ট্যুর’ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ট্যুরের প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন পপ তারকা। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মঞ্চে ফেরা হবে না গায়িকার।
এ পপস্টার তার প্রথম অ্যালবামের গান ‘হলিডে’-এর মাধ্যমে ‘সুপার হিট’ শব্দের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এই সাফল্যের চার দশক (৪০ বছর) পূর্তি ‘গ্রেটেস্ট হিট ট্যুর’-এ শ্রোতাদের গান শুনিয়ে উদযাপন করছেন তিনি।
ম্যাডোনা ব্যক্তিজীবনে ছয় সন্তানের জননী। তিনি একাধারে সংগীতশিল্পী ও গীতিকার। বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্যে তার গাওয়া ৬৩টি গান শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি গান ছিল নম্বর ওয়ান সিঙ্গেল।
অভিষেকে একাধিক সিঙ্গেলসে সাফল্য পাওয়ার পর প্রথম অ্যালবাম ‘ম্যাডোনা’ প্রকাশ হয় ১৯৮৩ সালে। অ্যালবামটি বিলবোর্ড ২০০-এ তালিকায় আট নম্বর দখল করে এবং একই সঙ্গে ‘বর্ডারলাইন’ ও ‘লাকিস্টার’ গান দুটি সিঙ্গেলসের সেরা দশে জায়গা নেয়।