ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
পুরুষদের ফুটবলে একবার করে শিরোপা জয়ের স্বাদ থাকলেও নারীদের বিশ্বকাপে এই প্রথম ফাইনালে উঠল স্পেন ও ইংল্যান্ড। আগামী রোববার এই দুই দলের লড়াইয়ে তাই নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখতে পাচ্ছে ফুটবলবিশ্ব।
ফাইনালে দুই দলই নতুন হলেও সার্বিকভাবে একটু বেশিই অনভিজ্ঞ স্পেন দল। মাত্র তৃতীয় বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে তারা। এর আগের সেরা সাফল্য গ্রুপপর্ব পেরিয়ে শেষ ১৬-তে উঠতে পারা। আর ২০১৫ সালে প্রথম আসরে খেলতে নামা স্পেন পার করতে পারেনি গ্রুপপর্বই।
অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত ৬ বার নারী বিশ্বকাপে খেলেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে তিনবার কোয়ার্টার ফাইনাল ও দুইবার সেমিফাইনাল খেলেছে দলটি। তবে সর্বশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দলটিই শিরোপার লড়াইয়ে এগিয়ে আছে।
এবারের নারী বিশ্বকাপটি বেশ ঘটনাবহুল। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল, জার্মানি, ইতালি ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডার মতো দলগুলো। শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোতে নাম খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা, জ্যামাইকা ও মরক্কোর মতো দল।
টুর্নামেন্টটি নিয়ে আগ্রহও কম নয়। সিডনিতে ফাইনাল উপলক্ষে ৭৫ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি কানায় কানায় পূর্ণ হবে বলেই ধারণা করছেন আয়োজকরা। টিকিট বিক্রির যে হার তাতে ভেঙে যেতে পারে নারী ফুটবলের ইতিহাসে দর্শক সমাগমের রেকর্ড।
সর্বশেষ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন ও ইংল্যান্ড। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতে সেমিফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। পরে জার্মানিকে ফাইনালে হারিয়ে জেতে শিরোপা। ওই আসরে ঘরের মাঠে বেশ সমর্থন পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে স্পেনের বিপক্ষে ফাইনালে সেই সমর্থন যে তারা পাবে না সেটি বলাই যায়। কারণ, টুর্নামেন্টের সহ আয়োজক অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড।