যুক্তরাষ্ট্রের ৬ অঙ্গরাজ্যে সম্প্রতি পৃথক বন্দুকধারীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৪১ জন। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়স, ওয়াশিংটন, পেনসিলভানিয়া, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, মেরিল্যান্ড ও মিজৌরিতে এসব ঘটনা ঘটে।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে রোববার উঠতি বয়সীদের পার্টিতে বন্দুকধারীর গুলিতে এক কিশোর (১৭) মারা গেছে। রাত ১টার দিকে সেখানে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৯ জন আহত হয় যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইলিনয়সের শিকাগো থেকে ২০ মাইল দূরে উইলব্রুকে একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে গুলিতে ২৩ জন আহত হয়। একজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে শনিবার রাতে ওয়াশিংটন স্টেট ক্যাম্প গ্রাউন্ডে কনসার্টে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। এতে দু’জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। পরে পুলিশের গুলিতে ঘাতক আহত হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর সারা রাত কনসার্ট চললেও রোববার তা বাতিল করা হয়।
পেনসিলভানিয়াতে শনিবার সকালে পুলিশের ব্যারাকে বন্দুকধারীর হামলায় এক পুলিশ সদস্য মারা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরেক পুলিশ সদস্য। রোববার পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী রাইফেল থেকে গুলি চালায়। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় শনিবার একটি পুল পার্টিতে বন্দুক হামলায় ৯ জন আহত হয়েছে। তাদের বয়স ১৬ থেকে ২৪ এর মধ্যে। তাদের মধ্য দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় একটি গাড়িকে দেয়ালে ধাক্কা দিতে দেখতে পায়। গাড়িটির চালক গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
বাল্টিমোরে শুক্রবার রাতে বন্দুক হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের শরীরে একাধিক গুলি দেখতে পেয়েছে। আহত অপর তিনজন নিজেরাই রাস্তা পার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহতদের বয়স ১৭ থেকে ২৪ এর মধ্যে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। স্কুলে, শপিং মলে, স্কুলের অনুষ্ঠানে গুলি চলছে। হামলাকারীদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোর, তরুণ ও যুবক। এরপরও দেশটিতে অস্ত্র আইন কড়াকড়ি করা হচ্ছে না। রিপাবলিকান পার্টির নেতারা এর বিরোধিতা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে যেখানে কিশোর বা যুবকদের ঝগড়া হলে ঘুষি মারা হতো, এখন সেখানে গুলি চলছে।