• বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

মহেশখালী এসপিএম প্রকল্পে পরীক্ষামূলক তেল খালাস শুরু আজ

একেনিউজ ডেস্ক ॥
Update : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন (এসপিএম) প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ রোববার। প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সরাসরি জাহাজ থেকে ক্রুড অয়েল সমুদ্রের তলদেশের পাইপলাইনের মাধ্যমে শোর ট্যাঙ্কে নেবে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শরীফ হাসনাত জানান, শনিবার ৮১ হাজার ৭৩৫ টন অ্যারাবিয়ান ক্রুড অয়েলবাহী প্রথম জাহাজ এসপিএম ডিসচার্জ পয়েন্টে পৌঁছেছে। তিন দিনের মধ্যেই ক্রুড অয়েল খালাস করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে আমদানি জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে খালাসের জন্য গভীর সমুদ্রে এসপিএম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন হলেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় এবং প্রায় ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। ফলে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। যদিও শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী শরীফ হাসনাত বলেন, ‘প্রকল্পের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এতে কিছু ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে ডলারের দাম বৃদ্ধি প্রকল্পের ব্যয়ে প্রভাব ফেলেছে।’

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত জ্বালানি তেল) পরিশোধন ক্ষমতা এখন বছরে ১৫ লাখ টন। নির্মাণাধীন ইউনিট-টু প্রকল্প চালু হলে ইআরএলের ক্রুড অয়েল পরিশোধন ক্ষমতা বছরে ৪৫ লাখ টনে দাঁড়াবে। অন্যদিকে দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বছরে প্রায় ৫০ লাখ টন ডিজেল আমদানি করতে হয়। বঙ্গোপসাগরের কর্ণফুলী চ্যানেলের নাব্য ৮ মিটার থেকে ১৪ মিটারের নিচে হওয়ায় ক্রুড অয়েলবাহী মাদার ভ্যাসেল (বড় জাহাজ) হ্যান্ডল করতে পারে না চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। যে কারণে ক্রুড অয়েলবাহী ভ্যাসেলগুলো গভীর সমুদ্রে নোঙর করা হয়। এরপর লাইটারেজে করে ক্রুড আনলোড করা হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। এ অবস্থায় আমদানি করা জ্বালানি খালাসে ব্যয় ও সময় বাঁচানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে এসপিএমসহ পাইপলাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্পে এসপিএম নির্মাণের পাশাপাশি মহেশখালীর মাতারবাড়ী উপকূলে ৫০ হাজার টন ধারণক্ষমতার তিনটি ক্রুড অয়েল স্টোরেজ ট্যাঙ্ক, ৩০ হাজার টন ধারণক্ষমতার তিনটি ডিজেল স্টোরেজ ট্যাঙ্ক এবং মহেশখালীতে পাম্প স্টেশন স্থাপন, স্কাডা সিস্টেম স্থাপন ও ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের মূল কাজের অংশ হিসেবে অফশোরে ১৪৬ কিলোমিটার এবং অনশোরে ৭৪ কিলোমিটারসহ মোট ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।


More News Of This Category