বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছে ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম দেশ ফিনল্যান্ড। আগামীকাল মঙ্গলবার দেশটি ন্যাটোতে যোগ দেবে। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এ কথা জানিয়েছেন।
আজ সোমবার ব্রাসেলসে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সপ্তাহ। মঙ্গলবার থেকে ফিনল্যান্ড জোটের পূর্ণ সদস্য হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোটের ৩১ তম সদস্য হচ্ছে দেশটি। ফিনল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ সুইডেনও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন স্টলটেনবার্গ। খবর- বার্তা সংস্থা এপির।
নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ন্যাটো সদরদপ্তরে প্রথমবারের মতো ফিনিশ পতাকা উত্তোলন করা হবে। এটি ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা, নর্ডিক নিরাপত্তা এবং সামগ্রিকভাবে ন্যাটোর জন্য একটি ভালো দিন হবে।
স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ অনুমোদনকারী সর্বশেষ দেশ তুরস্ক। মঙ্গলবার দেশটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে অফিসিয়াল বার্তা হস্তান্তর করবে।
গত বছর জুলাইতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে পশ্চিমা সামরিক জোটটি। দেশ দুটির যোগদানে একটি প্রটোকল সই করে তারা। এর মাধ্যমে ন্যাটোভুক্ত দেশ হওয়ার আরও কাছাকাছি চলে আসে দেশ দুটি।
ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো যেকোনো একটি আক্রান্ত হলে অন্য মিত্রদের ওপর হামলা হিসেবে গণ্য করা হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর রুশ আক্রমণের আশঙ্কায় ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।
এর আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। গত বছর মার্চ মাসে রাশিয়া হুমকি দিয়ে বলেছিল, ন্যাটো জোটে যোগ দিলে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে গুরুতর সামরিক ও রাজনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে।
মস্কো জানিয়েছিল, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে এই অঞ্চলে তারা নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করবে। এর অংশ হিসেবে দেশ দুটিকে লক্ষ্য করে সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মস্কো।