পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরও ২০ আসামি খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। এ নিয়ে আপিল হলো ৪৭টি। যেখানে আসামি একশোরও বেশি। সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল হয়।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে আপিল করেছে ২০টি।
অন্যদিকে সাজার বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে প্রায় শতাধিক আসামি লিভ পিটিশন করেছে আপিল বিভাগে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ মিলে লিভ পিটিশনের সংখ্যা ৪৪টি। বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় বিজিবি নিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা। সেই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় করা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার কাজ হাইকোর্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৬০ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় ২৫৬ জনের। খালাস পান ২৭৮ জন। নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স আসে হাইকোর্টে। আপিল করেন আসামিরা। কয়েকজন খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষও।
হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেওয়া হয়। রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল হয় ১৩৯ জনের। যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। খালাস পান ৪৫ জন।