ছবি: সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটজনে। এ ঘটনায় আরও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।
আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সুবচনী বাজারসংলগ্ন এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটির নাম তুরান আহমেদ (৮)। তার বাড়ি সিরাজদিখান খিদিরপাড়ায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কয়েস আহম্মেদ জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর টিম।
এর আগে ট্রলারডুবির ঘটনার দিন রাতে প্রশাসন থেকে জানানো হয়, আরও আটটি মরদেহ উদ্ধারের কথা। কিন্তু দাফনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা দিতে গেলে একই নাম দুবার আসায় সাত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানা যায়।
গত শনিবার রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলা খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪৬ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিকনিকের ট্রলার।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। লৌহজং থানায় করা মামলাটির বাদী ট্রলারডুবিতে সন্তানসহ পাঁচ স্বজন হারানো রুবেল শেখ। মামলায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বাল্কহেডের মালিক, চালক, চালকের সহকারীসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।