অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হরতাল অবরোধের নামে আগুনসন্ত্রাস করছে। অগ্নিসংযোগে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এসময় আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধে গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাকশ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শতকরা ৫৬ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। যারা তাদের (শ্রমিক) উস্কানি দিচ্ছে, তারাই তাদের ধ্বংস করবে। এটা শ্রমিকদের বুঝতে হবে। বর্তমান মজুরি নিয়েই পোশাকশ্রমিকদের কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে আবার আগুনে মানুষ পোড়ানো শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত। এদের প্রতি শুধুই ঘৃণা। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? সরকারকে কী কারণে পদত্যাগ করতে হবে? আমরাতো ওদের মতো আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারি না।
সরকারপ্রধান বলেন, সার, বিদ্যুৎসহ অনেক খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশ এ সুবিধা দিয়েছে?
প্রায় তিন মাস পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হচ্ছে। চলতি বছর ১২ আগস্ট সর্বশেষ বৈঠক হয়। এবারের বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নানান উপ-কমিটি গঠন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ এবং সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা হবে।