কক্সবাজারের চকরিয়ায় বহু বিতর্কিত তহসিলদার আবুল মনছুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। লীজ পাওয়া চিংড়ি জমি ইজারাদারকে বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক নারী।
গত ১৩ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াছমিন বাদি হয়ে আরও ৫জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজার পুলিশ ব্যুরো ইনভেন্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, গত ১৯-১২-২০২২ইং রেজি: কবলামূলে পশ্চিমবড় ভেওলা মৌজায় বিএস ১নং খতিয়ানের ২০০৬ দাগের ৩.৭০ একর এবং ২৯৩৮ দাগের ৪.৩২ একর মোট ৮-০২ একর সরকারি খাস জমি ইজারার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ১৯-১২-২২ ইং রেজিস্ট্রি লীজপ্রাপ্ত হয়ে দলিল তার নামে সম্পাদিত হয়। ইজারা প্রাপ্ত জমি সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ২২-১২-২২ ইং চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দেন। তিনি পূর্ববড়ভেওলা ভূমি অফিসের তহসিলদার আবুল মনছুরকে পরিমাপ করে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, লীজপ্রাপ্ত এসব জমি নিয়মিতভাবে সরকারকে খাজনাও পরিশোধ করি আসছি। এরপরও তহসিলদার আবুল মনছুর নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদের চিংড়ি জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। উল্টো নানাভাবে হয়রানী করে যাচ্ছেন। লীজপ্রাপ্ত জমি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিলে আবুল মনছুরকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে তিনি দাবি করেন। এতো টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করার পর বেপরোয়া হয়ে উঠে তহসিলদার। ওই জমি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটকে সেখান থেকে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এভাবে ওই সিন্ডিকেটটি প্রায় ৬ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছেন। এসবের প্রতিবাদ করলে তহসিলদার নানাভাবে হয়রানী করার হুমকি দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে গত ১৩ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করার কথা জানান তিনি।
এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান বলেন, পূর্ববড়ভেওলা উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কী কারণে মামলা হয়েছে সঠিক জানা নেই। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকলে সে নিজেই বুঝবে বলে জানান তিনি।