শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫২ রান আর অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট। পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডকে মাত্র ৯০ মিনিট টিকতে দিলেন অজি স্পিনার অ্যাশলে গার্ডনার। শেষের ৫ উইকেটই তুলে নেন তিনি। ২৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৭৮ রানেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। মেয়েদের অ্যাশেজের একমাত্র টেস্টটি অস্ট্রেলিয়া জিতে নিল ৮৯ রানে।
পঞ্চম দিনে ৫ উইকেটসহ ইনিংসে ৬৬ রানের বিনিময়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন গার্ডনার। মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন গার্ডনার।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আটে নামা আনাবেল সাদারল্যান্ডের সেঞ্চুরিতে ৪৭৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন এলিস পেরি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫ উইকেট নেন সোফি একলেস্টোন।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৪৬৩ রান করে ইংল্যান্ডের মেয়েরা। ২০৮ রান করেন দলটির ওপেনার টামি বাউমন্ট। মেয়েদের টেস্ট ইতিহাসে এটি অষ্টম ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা।
১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২৫৭ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন বেথ মুনি। অর্ধশতকের দেখা পান অধিনায়ক অ্যালিস হিলি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেটের দেখা পান ইংলিশ বোলার একলেস্টোন।
২৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৫ রান। প্রথম উইকেটের পতনের পর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। একাই লড়েছেন ছয়ে নামা ড্যানি ওয়াট (৫৪)।
এর আগে এজবাস্টনে ছেলেদের টেস্টেও শেষ দিনের শেষ বিকেলে ইংল্যান্ডকে নাটকীয় ম্যাচে হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্স এবং নাথান লায়নের বীরত্বে সেই ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে অজিরা।