রামুতে খুরশিদা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শশুরবাড়িতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজারকুল ইউনিয়নের দেয়াংপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ভোরে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী বোরহান উদ্দিন। মরদেহটি বর্তমানে সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরিবারের লোকজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
নিহত খুরশিদার বাবার কক্সবাজার সদর উপজেলার বাড়ি খুরুশকুল ইউনিয়নের মনুপাড়ায়। ৫ বছর আগে বোরহান উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয় তার। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। তার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী বোরহান উদ্দিন কখনো বিদেশ যাওয়ার নামে আবার কখনো গাড়ি কিনে দেয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে খুরশিদাকে নির্যাতন চালাতেন। শেষ পর্যন্ত দাবি পূরণ না করায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার দাবী করেন, মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় খুরশিদা মোবাইলে কল দিয়ে জানায় তাকে মারধর করা হচ্ছে। এই ফোনের পর পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে না হতেই ফের খবর আসে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে খুরশিদাকে।