রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন / ছবি: সংগৃহীত
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর দুইদিন পর শুক্রবার (২৫ আগস্ট) একটি ডিক্রি জারি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যা ওইদিনই কার্যকর হয়। এ ডিক্রির মাধ্যমে ওয়াগনারসহ অন্যান্য ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে আনুগত্যের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন।
ক্রেমলিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুতিনের ওই ডিক্রিতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ যারা সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করছেন অথবা সহায়তা করছেন ডিক্রিটি তাদের ওপরও প্রযোজ্য হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এ ডিক্রির মাধ্যমে ভাড়াটে বাহিনীগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট ফেলো নাতিয়া সেসকুরিয়াও একই কথা বলছেন।
সেসকুরিয়া বলেন, ওয়াগনার বাহিনীর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ চান পুতিন। ভাড়াটে বাহিনীর কারণে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো সংকটের মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এ ডিক্রি জারি করেছেন তিনি।
এর আগে, বুধবার (২৩ আগস্ট) মস্কোর কাছাকাছি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিহত হয়েছেন বলে খবর ছড়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে। খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে প্রিগোজিনের নামও রয়েছে বলে জানায় দেশটির কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তার মৃত্যুতে ওয়াগনার বাহিনী এখন কার্যত নেতৃত্বশূন্য।
এদিকে, প্রিগোজিনের মৃত্যুতে পুতিনের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ গত জুনে তার সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোজিন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। ওই ঘটনায় তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যা দেন পুতিন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে পুতিনের অনুমোদন ছাড়া কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় না। আমি জানি না, আসলে কী ঘটেছে। তবে আমি এ ঘটনায় মোটেই অবাক নই।
প্রভাবশারী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়ে থাকে তাহলে, আরও শক্তিশালী চেহারায় ফিরবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। প্রিগোজিনের মৃত্যুতে ক্ষমতা আরও দৃঢ় হবে পুতিনের। এমনকি, সত্যবাদী দেশপ্রেমিক এ নেতা বনে যেতে পারেন ওয়াগনার প্রধান।
সূত্র: বিবিসি