রোববার (২৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যুক্তিতর্কের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেন তিনি।
তবে বজলুর রশিদের বেকসুর খালাস দাবি করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা এ মামলায় গত বছরের ২০ অক্টোবর দুদক বজলুর রশিদকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখায়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বজলুর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনতে ২০১৮ সালে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তিতে ফ্ল্যাটটির মূল্য বাবদ তিনকোটি টাকার বেশি লেনদেনের বিষয়ে বলা হয়েছিল।
ওই বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ৭ জুনের মধ্যে তিনি নগদ ও চেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু, দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার সঠিক কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।
মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ১৪ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।